পাইলট টেলিভিশনের গোলাম মোস্তফা

জাঁ নেসার ওসমান

আলোকচিত্রী গোলাম মোস্তফা

‌’পূর্ব পাকিস্তানের পাইলট টেলিভিশন শুরু হয়, ১০ পৌষ, ১৩৭১। আজ থেকে প্রায় ৫৭ বছর আগে। টগবগে তরুণ, প্রায় ছ’ফুট লম্বা গোলাম মোস্তফা তখন জাপানি ক্যামেরাম্যানদের নেওয়া পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পাইলট টেলিভিশনে যোগ দিয়েছিলেন। তখনকার দিনে একমাত্র পাইলট টেলিভিশন চ্যানেলে ১৬ মি.মি. সাদাকালো ফিল্ম নেগেটিভ প্রসেস হতো। 

গোলাম মুস্তফা তখন সারা দেশে একজন বিশেষ স্বনামধন্য বিজ্ঞাপন চলচ্চিত্র নির্মাতা, যিনি স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে প্রথম ইউম্যাটিক ফরমেটে বিজ্ঞাপন চলচ্চিত্র নির্মাণ করে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করেছিলেন। গোলাম মুস্তফা ভাই বাংলাদেশে আরও অনেক কিছুরই প্রথম ছিলেন। বাংলাদেশে বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রথম ভিডিওগ্রাফিরও জনক আমাদের এই গোলাম মুস্তফা ভাই! 

'টেলিভিশন ক্যামেরা জগতের পথিকৃৎ গোলাম মুস্তফা।'

এমনি বহু ইতিহাসের স্রষ্টা আমাদের সর্বজন শ্রদ্ধেয় গোলাম মুস্তফা। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তখন বিশ্বসাহিত্যের খুব ভালো ভালো নামকরা সব নাটক প্রচারিত হতো। বাংলাদেশ টেলিভিশনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’ প্রচারের পর সারা সমাজে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। আর বিশ্বসেরা নাট্যকার শেকসপিয়ারের ‘টেমিং অব দি শ্রু’ অবলম্বনে ‘মুখরা রমণী বশীকরণ’ প্রচারের পর অভিনেতা শ্রদ্ধেয় গোলাম মুস্তাফা (সুবর্ণা মুস্তাফার পিতা) ও অভিনেত্রী রেশমার নাম মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। আর এই সব নাটকের ক্যামেরাম্যানরা অর্থাৎ গোলাম মুস্তফারা সবাই তারকা পর্যায়ের সম্মান লাভ করেন।

সেই ১৯৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান আমলে দেশের প্রথম এবং রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের কাজ শুরু হয়েছিল। আজকের দিনে বাংলাদেশে প্রায় চল্লিশটি প্রাইভেট চ্যানেল সদর্পে বিরাজ করছে। এখন  বাংলাদেশে প্রায় হাজারখানেক ক্যামেরাম্যান রয়েছেন, তাদের সবার মননে স্বর্ণাক্ষরে গাঁথা থাকবে একটি নাম, তা আমাদের টেলিভিশন ক্যামেরা জগতের পথিকৃৎ গোলাম মুস্তফা।’

তখনকার দিনে একমাত্র পাইলট টেলিভিশন চ্যানেলে ১৬ মি.মি. সাদাকালো ফিল্ম নেগেটিভ প্রসেস হতো। তাই ১৬ মি.মি. ফিল্মে শ্যুটিং করতে হলে পাইলট টেলিভিশনের স্মরণ নিতে হতো। 

পূর্ব পাকিস্তানের পাইলট টেলিভিশন শুরু হয়, ১০ পৌষ, ১৩৭১। আজ থেকে প্রায় ৫৭ বছর আগে। টগবগে তরুণ, প্রায় ছ’ফুট লম্বা গোলাম মোস্তফা তখন জাপানি ক্যামেরাম্যানদের নেওয়া পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পাইলট টেলিভিশনে যোগ দিয়েছিলেন। তখনকার দিনে একমাত্র পাইলট টেলিভিশন চ্যানেলে ১৬ মি.মি. সাদাকালো ফিল্ম নেগেটিভ প্রসেস হতো। তাই ১৬ মি.মি. ফিল্মে শ্যুটিং করতে হলে পাইলট টেলিভিশনের স্মরণ নিতে হতো। 

বাংলাদেশে বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রথম ভিডিওগ্রাফিরও জনক গোলাম মোস্তফা’

গোলাম মোস্তফা তখন সারা দেশে একজন বিশেষ স্বনামধন্য বিজ্ঞাপন চলচ্চিত্র নির্মাতা, যিনি স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে প্রথম ইউম্যাটিক ফরমেটে বিজ্ঞাপন চলচ্চিত্র নির্মাণ করে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করেছিলেন। গোলাম মোস্তফা ভাই বাংলাদেশে আরও অনেক কিছুরই প্রথম ছিলেন। বাংলাদেশে বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রথম ভিডিওগ্রাফিরও জনক আমাদের এই গোলাম মোস্তফা ভাই! যার সহকারী  হিসেবে বিয়েবাড়ির ক্যামেরাম্যান রূপে কাজ করতেন পরে স্বনামধন্য টিভি ক্যামেরাম্যান শ্রী সমীর কুশারী।

এমনি বহু ইতিহাসের স্রষ্টা আমাদের সর্বজন শ্রদ্ধেয় গোলাম মোস্তফা। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তখন বিশ্বসাহিত্যের খুব ভালো ভালো নামকরা সব নাটক প্রচারিত হতো। বাংলাদেশ টেলিভিশনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’ প্রচারের পর সারা সমাজে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। আর বিশ্বসেরা নাট্যকার শেকসপিয়ারের ‘টেমিং অব দি শ্রু’ অবলম্বনে ‘মুখরা রমণী বশীকরণ’ প্রচারের পর অভিনেতা শ্রদ্ধেয় গোলাম মুস্তাফা (সুবর্ণা মুস্তাফার পিতা) ও অভিনেত্রী রেশমার নাম মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। আর এই সব নাটকের ক্যামেরাম্যানরা অর্থাৎ গোলাম মোস্তফারা সবাই তারকা পর্যায়ের সম্মান লাভ করেন।

সেই ১৯৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান আমলে দেশের প্রথম এবং রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের কাজ শুরু হয়েছিল। আজকের দিনে বাংলাদেশে প্রায় চল্লিশটি প্রাইভেট চ্যানেল সদর্পে বিরাজ করছে। এখন  বাংলাদেশে প্রায় হাজারখানেক ক্যামেরাম্যান রয়েছেন, তাদের সবার মননে স্বর্ণাক্ষরে গাঁথা থাকবে একটি নাম, তা আমাদের টেলিভিশন ক্যামেরা জগতের পথিকৃৎ গোলাম মোস্তফা।’

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Twitter picture

You are commenting using your Twitter account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s