

ছবি তোলার আগে অবশ্যই আলো দেখে নেয়া জরুরি। কেননা ফটোগ্রাফিতে আলো ও তার সঠিক ব্যবহার খুব প্রয়োজনীয়। অথবা আলোর পথ খুঁজে বের করা। ফটোগ্রাফিতে প্রাকৃতিক আলোর উৎস হল সূর্যের আলো। সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত আলোর পরিবর্তন হয়। সূর্যের আলোয় ফটো ভালো তোলা যায়। তাই দিনের যেকোনো সময় সূর্যালোকের সুবিধা নিয়ে ফটোগ্রাফিতে আলোর ব্যবহার করা যায়।
রাতের বেলায় ফটোগ্রাফির প্রথম নিয়ম হলো ক্যামেরা সেটিংয়ের ফ্ল্যাশ বন্ধ করে রাখা। ক্যামেরার সাদা আলোর সাথে অন্য আলোর প্রতিফলন এবং প্রতিসরণের ক্রিয়ার ফলে মূল ছবির কম্পোজিশনের এবং কালারের পরিবর্তন ঘটে যেতে পারে। তাই রাতের বেলায় ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে ফ্ল্যাশ বন্ধ রাখাই ভালো।সরাসরি সাবজেক্টে ফ্ল্যাশ না করে কোন কিছুতে যদি বাউন্স করে ফ্ল্যাশ ব্যবহার করা যায় তাহলে বেশ ভালো ছবি পাওয়া সম্ভব।
একই সময়ে দৃশ্যে অন্ধকার এবং আলোকিত অঞ্চলগুলি ধারণ করতে ক্যামেরার লাইট মিটার অপ্রত্যাশিত বা অত্যধিক এক্সপোজড করে ছবি ধারন করা সম্ভব। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ফটোগ্রাফার ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকা আলোর উৎস থেকে ক্যামেরা এক্সপোজার সেটিংস ঠিক করে ছবিটি কে কিছুটা আলোকিত করতে পারছে।
ফটোগ্রাফিতে কোন সময় আলোর উৎস সরিয়ে নেয়া যায়। অন্য সময় সাবজেক্ট সরিয়ে নেবার প্রযোজন হয় আলোর অবস্থানের পরিবর্তনের জন্য। পাশে আলোর উৎস স্থাপন করা হলে সাবজেক্ট কে পাশের সেই আলো আঘাত করে ফলে ছবিটিতে ছায়া এবং গভীরতা তৈরী করে ছবিটির রূপ বদলে দেয়া য়ায়।
আউটডোর শ্যুটের জন্য মেঘলা আবহাওয়ায় বিকেলে বা দুপুরে দিকে, বেশ ভালো লোকেশন পছন্দ করে ছবি ক্যাপচার করা উত্তম বিকল্প। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ফটোগ্রাফি লাইটিং ভালো হতে হবে।
ইনডোর শ্যুটের জন্য ডিম লাইট ব্যবহার করা যায়। ফটোতে হালকা ছায়া যুক্ত করার জন্য এই ধরণের ঘরের সঙ্গে ডিম লাইট পারফেক্ট। সেরা ছবি আসার জন্য ছোট ঘরের জানালাগুলিকে সফটবক্স হিসাবে ব্যবহার করা উত্তম। আবার যদি ফটোগ্রাফি করার জন্য বড় ঘর বাছাই করা হয় তাহলে আরও বেশি লাইটের প্রয়োজন হবে।
সবচেয়ে ভালো হয়, সূর্যের যে আলো রয়েছে সে আলোতেই কাজ প্রয়োজনীয় কাজটি শেষ করতে পারলে; কেননা এটি একটি চমৎকার অনুশীলনও বটে।