
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ছবির ইতিহাসে নতুন মাত্রা হিসেবে যুক্ত হয় বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি। যদিও তখন ফটোগ্রাফির মান ততটা ভাল ছিল না। তবুও বিভিন্ন জায়গায় বিবাহ ফটোগ্রাফি একধরনের প্রতিযোগিতার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। বিয়ের ছবি ফটোগ্রাফি পেশার জগতে এক নতুন সম্ভাবনা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
বিয়ের ছবি তোলা কিন্তু চাট্টি খানি কথা না। এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। কারণ এই শিল্প মুহুর্ত ধরে রাখে। ফটোগ্রাফিতে কোনও বিশেষ মুহুর্ত যদি বাদ পড়ে যায় কিংবা অদক্ষতার কারণে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে যাচ্ছেতাই ব্যাপার হবে। তাই ফটোগ্রাফার হতে হবে দক্ষ এবং সৃষ্টিশীল যার একটিমাত্র ক্লিকেই হবে বাজিমাৎ। আগ্রহী ফটোগ্রাফাররা খুব সহজেই এই ক্ষেত্রটিতে নিজেদের সৃজনশীলতা প্রকাশের পাশাপাশি নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারেন।
বিবাহ ফটোগ্রাফি শুরু করতে অনেক কিছু মাথায় রাখতে হয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি অর্থাৎ ডিজিটাল ক্যামেরা, এডিটিং সফটওয়্যার, কম্পিউটার, বিজনেস কার্ড, ওয়েবসাইট ইত্যাদি। এর পরেই প্রয়োজন প্রচার। একজন ভাল ফটোগ্রাফারকে সকলে চেনে তার প্রচারের মাধ্যমেই। এই ডিজিটাল যুগে প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। এছাড়াও বিয়ে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমেও সেটি হতে পারে।
যেকোনও পরিষেবা ও পণ্যের মূল্য নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। নতুন ফটোগ্রাফারদের দিয়ে অনেক ক্রেতাই কম টাকায় কাজ করিয়ে নিতে চায়, প্রথম থেকেই সে বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। বাজারের দর জেনে পারিশ্রমিক ঠিক করুন। কাজ পাওয়ার জন্য অন্যায্য টাকায় কাজ করতে রাজি না হওয়াই ভাল। দক্ষতা থাকলে উপযুক্ত পারিশ্রমিকেই কাজ পাবেন। পাশাপাশিই মাথায় রাখতে হবে অঅপনার কাজের নির্ধারিত দামটাও যেন ক্রেতার সধ্যের মধ্যেই থাকে। ফলে আপনার পরিশ্রমিক ঠিক কতটা হওয়া উচিত সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তারপরই সিদ্ধান্ত নিন।
চলতি সময়ে বিবাহ ফটোগ্রাফিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। তবে শুধু অনেক টাকা আছে বলেই যারা এ পেশায় আসেন, তারা সাময়িকভাবে সফল হলেও সেটা টিকিয়ে রাখতে পারেন না। একজন ভালো বিবাহ ফটোগ্রাফারকে তার কাজে উৎসাহী হতে হবে এবং নিজের ভিতরে এমন একটি উদ্দীপনা কাজ করতে হবে যে ক্লায়েন্টের জীবনের অন্যতম একটি দিনের ভাগীদার তিনি।
