গতানুগতিক চাকরির বাইরেও এমন অনেক পেশা আছে যেখানে ভালোভাবে উপার্জন ও সম্মান আদায় করা সম্ভব। এরকমই একটি পেশা হলো ফটোগ্রাফি। এখানে নিজের দক্ষতার পাশাপাশি শৈল্পিক জ্ঞানের সমন্বয়ে যে কেউ গড়তে পারেন উজ্জ্বল ভবিষ্যত। একজন সৃজনশীল এবং দক্ষ ফটোগ্রাফারের কাজের ক্ষেত্রে ব্যাপ্তি অনেক বেশি। ফটো সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে বর্তমানে সুপরিচিত এবং আর্থিকভাবে সচ্ছল অনেকেই।
একজন ফটো সাংবাদিকের প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেট্রনিক মিডিয়া, নিউজ এজেন্সি, ফটো এজেন্সিতে কাজের সুযোগ আছে। সাংবাদিকতা ছাড়াও গ্ল্যামার ফটোগ্রাফি, প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি, ওয়েডিং ফটোগ্রাফি, ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফি, চলচিত্রে স্টিল ফটোগ্রাফি করার সুযোগ রয়েছে। ফটো কম্পিটিশন এবং ফটো এক্সিবিশনে অংশগ্রহণ করতে পারেন।এ ছাড়া মহল্লা বা পাড়ায় স্টুডিও স্থাপন করেও প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় এই পেশায়। তাছাড়া ইন্টারনেটে সার্চ করলে বহু সাইট পাওয়া যায় যেখানে ছবি রেখে শেয়ার করা যায়, বিক্রি করা যায়।এখানে ছবি যাদের পছন্দ তারা কিনে নিতে পারে। নির্দিষ্ট কোন কাজে তারা সেই ছবি ব্যবহার করবে, তারপরও যার ছবি তারই থেকে যাবে।
ফটোগ্রাফির সার্বিক দিকটাই এখন কম্পিউটারনির্ভর। তাই দক্ষ ফটোগ্রাফার হতে হলে বর্তমানে প্রযুক্তি জ্ঞান থাকাটা প্রয়োজন। ছবিতে বিভিন্ন ইফেক্ট এবং প্রাণবন্ত করে তুলতে ফটোশপের বিভিন্ন ভার্সনে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে। স্টুডিও ব্যবসায় ফটোগ্রাফি করতে হলেও প্রিন্টারে ছবি প্রিন্ট, ছবির কালার কালেকশন, ছবিতে বিভিন্ন ইফেক্টের ব্যবহার করার জন্য কম্পিউটারে দক্ষতা জরুরি। তথ্যপ্রযুক্তির এই প্রসারের যুগে অনলাইনে উপস্থিত থাকা পেশাদারিত্বের একটি বড় প্রমাণ এবং এটি খুব সহজেই অনেকের কাছে কাজকে তুলে ধরবে। এজন্য একটি ডোমেইন কিনে ব্লগ তৈরি করা যেতে পারে, বা একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। সেখানে থাকবে পোর্টফোলিও। পাশাপাশি ফটোগ্রাফি নিয়ে চিন্তা-ভাবনাও।
অনেকেই মনে করেন যে একটি ভালো ক্যামেরা আর কয়েকটি লেন্সের মাধ্যমেই একজন ভালো ফটোগ্রাফার হওয়া যায়। সত্যি বলতে কি এতে হয়তো ছবি তোলা যায়। কিন্তু একজন ভালোমানের ফটোগ্রাফার বা সফল পেশাদার ফটোগ্রাফার হওয়া যায় না। একজন সফল পেশাদার হতে হলে আপনাকে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে হবে।যেমন পড়ালেখা, অধ্যাবস্যায়; থাকতে হবে প্রকৃতিতে ভিন্নভাবে দেখার অভ্যাস ও ক্ষমতা।